কমলাকান্ত ভট্টাচার্য

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (১৭৭২ - ১৮২০) ছিলেন শাক্ত পদাবলী তথা শ্যামা সংগীতের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি সাধক কমলাকান্ত নামে বেশি পরিচিত। তিনি বর্ধমান মহারাজ তেজচাঁদের গুরু ও সভাসদ ছিলেন। তিনি শতাধিক ভক্তিগীতি রচনা করেন। আগমনী ও বিজয়া পদে তিনি শ্রেষ্ঠ ছিলেন বলে অনেকেই মনে করেন। টপ্পার আঙ্গিকে তার শ্যামাসঙ্গীত বাংলার সঙ্গীত-ক্ষেত্রে প্রচলিত আছে। শাক্ত পদাবলীতে রামপ্রসাদ সেনের পরেই কমলাকান্তের নাম বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • আপনারে আপনি দেখ, যেওনা মন! কারু ঘরে।
    যা চাবে এই খানে পাবে, খোঁজ নিজ অন্তঃপুরে।৷
    পরম ধন পরশ মণি, যে অসংখ্য ধন দিতে পারে।
    এমন কত মণি পড়ে আছে, চিন্তামণির নাচ দুয়ারে।৷
    • কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৩
  • আর কিছু নাই সংসারের মাঝে কেবল শ্যামা সার রে।
    ধ্যান কালী জ্ঞান কালী প্রাণ কালী আমার রে॥
    আসিয়ে ভুবনে এ তনু ধারণে যাতনা না হয় কার রে।
    (একবার) হেরিলে ও কায়, সব দুঃখ যায়, এই গুণ শ্যামা মার রে॥
    • প্রার্থনা ও সঙ্গীত, সঙ্কলক- স্বামী তেজসানন্দ, প্রকাশক- রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ, বেলুড়মঠ, দ্বাদশ সংস্করণ, প্রকাশসাল- ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দ, পৃষ্ঠা ৭১
  • মজিল মন-ভ্রমরা, কালীপদ নীল-কমলে।
    যত বিষয়-মধু তুচ্ছ হৈল, কামাদি কুসুম সকলে॥
    চরণ কালো ভ্রমর কালো, কালো কালোয় মিশে গ্যালো;
    দ্যাখো সুখদুখ সমান হোলো, আনন্দসাগর উথলে॥
    • কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৭
  • দ্বি সপ্ত গেহ নাড়ী শরীরের মাঝে।
    তার মধ্যে দশ নাড়ী প্রধান বিরাজে।৷
    তিন নাড়ী শুন তাহে প্রধান রচনা।
    ইড়া আর পিঙ্গলা কহিব সুষুমনা।৷
    • সাধক-রঞ্জন, কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, সম্পাদনা- বসন্তরঞ্জন রায় ও অটলবিহারী ঘোষ, প্রকাশক- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৯
  • আদি ভূতা সনাতনী, শূন্যরূপা শশী ভালী।
    যখন ব্ৰহ্মাণ্ড নাছিল, হে মা! মুণ্ডমালা কোথায় পেলী।৷
    সবে মাত্র তুমি যন্ত্রী, যন্ত্র আমরা তন্ত্রে চলি।
    তুমি যেমন্ রাখ তেম্নি থাকি, যেমন্ বলাও তেম্নি ৰলি।৷
    • কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৭
  • শ্যামাধন কি সবাই পায়। অবোধ মন! বুঝনা একি দায়।
    শিবেরো অসাধ্য সাধন, মন! মজনা রাঙ্গা পায়॥
    ইন্দ্রাদি সম্পদ সুখ, তুচ্ছ হয় যে ভাবে তায়।
    সদানন্দ সুখে ভাসে, শ্যামা যদি ফিরে চায়॥
    • কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৬৭

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

উইকিসংকলন
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: